বিস্তারিত

তৎকালীন পাকিস্তান আমলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানবীর ফটিকছড়ি থানার অন্তর্গত নানুপুর নিবাসী এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণকারী জনাব আলহাজ্ব মির্জা আবু আহম্মদ শিক্ষার দিক অগ্রসর ও অবহেলিত ফটিকছড়ি থানার জনসাধারণের ভবিষ্যত চিন্তা করে সর্বসাধারণের ঐক্যমতে ও সহযোগিতায় ফটিকছড়ির প্রাণ কেন্দ্রে ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথম ফটিকছড়ি করোনেশন হাই স্কুলের ছাত্রাবাস ভবনে অস্থায়ীভাবে কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। তিনি কলেজ প্রতিষ্ঠার যাত্রালগ্নে প্রায় ২৫,০০০/- টাকা অকাতরে দান করেন। এরপর ধীরে ধীরে কলেজের সার্বিক কাঠামো, সুব্যবস্থাপনা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে যায়। কলেজের সাংগঠনিক কমিটির কনভেনর আলহাজ্ব মির্জা আবু আহম্মদ এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংগঠনিক কমিটির সদস্যবর্গ ও স্থানীয় গণ্যমান্য জনসাধারণের অনুরোধে কলেজকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষে তৎকালীন ফটিকছড়ির সাব রেজিস্ট্রার ও সাংগঠনিক কমিটির সেক্রেটারি, শিক্ষানুরাগী জনাব আমানত উল্লাহকে (তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট) কলেজটির সার্বিক কর্মকান্ড এগিয়ে নেয়ার জন্য আরো গুরুদায়িত্ব প্রদান করেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও দক্ষ পরিচালনায় এবং এতদঞ্চলের জনসাধারণের শ্রম ও আর্থিক সহযোগিতায় কলেজটি নিজস্ব পায়ে দাঁড়ানোর মতো শক্তি লাভ করে। কলেজটি তৎকালীন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১/৭/১৯৭১ ইং থেকে অস্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি (পাস) কলা ও বাণিজ্য পর্যায়ে ১/৭/১৯৭২ ইং থেকে অস্থায়ী অধিভূক্তি লাভ করে। বর্তমান কলেজটি বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ উপযোজন প্রাপ্ত। বর্তমান কলেজের নিজস্ব ক্রয় ও দান সূত্রে প্রাপ্ত জমির পরিমাণ ৫.৪১  একর।

অত্র ফটিকছড়ি সরকারি কলেজটি চট্টগ্রাম জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা ফটিকছড়ির প্রাণ কেন্দ্রে বর্তমান ফটিকছড়ি পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত। এটি অত্র এলাকার একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র কলেজটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং এতদঞ্চলের একমাত্র শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের বিবর্তনের সাথে কলেজের ছাত্র/ছাত্রীও বৃদ্ধি পাচ্ছে।